Cart (0)
Sub Total: Tk 0
Blog
সাম্প্রতিক সময়ের বিস্ময় ChatGPT! কী এই প্রযুক্তি? এর ব্যবহারই বা কী কী? POSTED ON March 19, 2023

সাম্প্রতিক সময়ের বিস্ময় ChatGPT! কী এই প্রযুক্তি? এর ব্যবহারই বা কী কী?

এই কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে দিনদিন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স/এআই এর জগতে অভূতপূর্ব উন্নতি হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে আমরা দেখেছি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স/এআই- এর ক্ষেত্রে বেশকিছু অনবদ্য আবিষ্কার। আজকের ব্লগে আমরা সে বিষয়গুলো নিয়েই আলোকপাত করতে যাচ্ছি। 

প্রথমেই MidJourneyAI দিয়েই শুরু করি। এই এআই টুল দিয়ে অসাধারণ সুন্দর সুন্দর ছবি তৈরি করা যাচ্ছে। তাও আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে না থেকে জাস্ট দুয়েকটা কিওয়ার্ড এর সাহায্যেই মূহূর্তের মধ্যেই আপনি আপনার  কাঙ্খিত ছবি পেয়ে যাচ্ছেন। 

OpenAI এর DALL·E 2 দিয়েও এ ধরনের ছবি পাওয়া যায়। MidJourneyAI এবং ChatGPT ‘র মতো এটিও এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট লিমিটে ফ্রি আছে।

AI বা Artificial Intelligence এর সুবিধা কিন্তু এটাই। আপনার সময় আর শ্রম দুটোই বেঁচে যাচ্ছে আবার ফলাফল আসছে দারুন।  

বর্তমান সময়ে আলোচিত ChatGPT ও এমনই এক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেটি মানুষের ভাষাকে বুঝতে সক্ষম এবং সেই ভাষার অর্থ বুঝে মানুষের কাঙ্খিত সমাধান ও দিতে সমর্থ। আপনি যা চাইবেন তা-ই পাবেন ChatGPT এর কাছ থেকে। এটি OpenAI এর একটি প্রজেক্ট। যার পূর্ণরূপ হলো: Generative Pre-trained Transformer।

গত বছর, অর্থাৎ ২০২২ এর নভেম্বরেই এটি রিলিজ দেওয়া হয় বাজারে। 

ChatGPT  মূলত একটি চ্যাট বট, যার সাথে কথা বলা যাবে এবং তাকে প্রশ্ন করলে মানুষের মতো উত্তর দিবে। বরং বলা উচিত মানুষের চেয়েও বেশি তথ্য সমৃদ্ধ উত্তর পেয়ে যাবেন আপনি এই চ্যাট বটে! 

এখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, Google Assistant, Siri, Cortana এসবেও তো আমাদের ভাষা বুঝে যা খুঁজি তা এনে দেয়। তাহলে এখানে ChatGPT ধরন আলাদা হলো কীভাবে? এখানেই লুকিয়ে আছে ChatGPT এর ইউনিকনেস। চলুন জেনে নেওয়া যাক যে ChatGPT কেন অন্যদের থেকে আলাদা। 

VIRTUAL ASSISTANT  vs CHATGPT:

আমরা যখন গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, করটানা বা অন্যান্য ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টকে কোনোকিছু জিজ্ঞেস করি তখন তারা আমাদের কীরকম রেজাল্ট শো করে? হয়তো তারা কোনো সাইট থেকে সংক্ষেপ করে কিছু এনে দেয়/শোনায় অথবা কিছু লিংক সাজেস্ট করে। এর বাইরে কিন্তু নিজের বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তারা কিছুই করতে পারেনা। 

কিন্তু, ChatGPT নিজের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে আপনার চাহিদা অনুযায়ী উত্তর দেবে আপনাকে। সরাসরি কোথাও থেকে কপি পেস্ট করে নয় কিন্তু।

কারণ, এটিতে মেশিন লার্নিং এর যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সূক্ষ্মতার সাথে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি তৈরিতে ফলো করা হয়েছে NPL বা Natural Proccessing Language যা মানুষের ভাষাকে বুঝতে সহায়তা করে।

ফলে আমরা যখন একজন আরেকজনকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস করি তখন সে যেভাবে প্রশ্নটা বুঝতে পেরে হুবহু এবং সরাসরি উত্তর দেয়, ChatGPT ও কিন্তু সেভাবেই কাজ করে। ফলে গুগল বা অন্যান্য এসিস্ট্যান্টের মতো এটি মুখস্থ কোনোকিছু শো করে না বা রেফারেন্স দিয়ে দায় সারেনা।

এর ভান্ডারে তথ্য না থাকলে সরাসরি জানেনা বলে দেবে যেমনটা আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে করে থাকি।

মূলত এই দিকটাই ChatGPT কে অন্যান্য যে ভার্চুয়াল AI বা Assistant গুলো রয়েছে সেগুলো থেকে আলাদা করে।

CHATGPT কী কী করতে পারে ও এর সুবিধা কী?

বলতে গেলে ChatGPT অনেককিছুই করতে পারে। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে সায়েন্স ফিকশন মুভির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট/ডিভাইস তৈরিতেও এর ব্যবহার আমরা দেখতে পাব।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে রিপ্লেস করছে। যার প্রমাণ ChatGPT. একজন মানুষের জ্ঞান কিন্তু সীমিত। কোনো মানুষ সর্ববিদ্যা বিশারদ হতে পারেনা। অতি অল্পকিছু বিষয়ে মানুষের জ্ঞান অর্জন করতেই জীবন চলে যায়।

কিন্তু ইন্টারনেট/ওয়েবে কত হাজার হাজার বিষয়ে কতশত আর্টিকেল রয়েছে যা কিন্তু কোটি কোটি মানুষের জ্ঞানের আলোকেই লেখা হয়েছে। একজন মানুষ চাইলেও কখনোই এতকিছু নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারবেনা। কিন্তু একটা মেশিন কিন্তু চাইলেই পারবে।

তবে মেশিনের একটা সীমাবদ্ধতা ছিল সে হুবহু সেগুলো দেখাতে পারতো, কিন্তু মানুষের মতো সেগুলো পড়ে ধারণা নিয়ে নিজের মতো কিছু আউটপুট দিতে পারতো না। তবে বর্তমানে সেটিও কিন্তু সম্ভব হতে চলেছে।

যেমন ধরুন, আপনি চাচ্ছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে। গুগলকে জিজ্ঞেস করলে সে কিন্তু আপনাকে সরাসরি কিছু বলবেনা। হয়তো আপনাকে কোনো একটা সাইট থেকে একটা আর্টিকেলের কিছুটা শো করবে অথবা অনেকগুলো সাইটের লিংক দিয়ে দেবে।

আপনাকে কষ্ট করে অ্যাডস দেখে দেখে সেগুলো পড়তে হবে। যা আসলেই বিরক্তিকর। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে কিন্তু আমাদের জানার ইচ্ছা থাকলে যখন কাউকে জিজ্ঞেস করি তখন কেউ এভাবে লিংক/রেফারেন্স দেয় না বা দিলেও আমাদের বিরক্ত লাগে। কিন্তু ChatGPT সেই কাজকে করেছে পানির মতো সহজ।

আপনি প্রোগ্রামিং করছেন?কোনো বিষয়ে আটকে গেলে ChatGPT কে বলুন। সমাধান হাতের কাছেই। হতে পারে তাকে বললেন, একটা Snake Games এর কোড করে দিতে। সে কিন্তু আপনাকে গুগলের মতো রেফারেন্স দিবেনা। সরাসরি কোডটাই সে করে দিবে। অথবা ধরুন, Flutter দিয়ে অ্যাপ ডেভেলপ করছেন। আপনার কোনো একটা কোড দরকার যা আপনি পারছেন না, ChatGPT কিন্তু সেটাও করে দিতে সক্ষম।

চাইলেই এরকম হাজার হাজার প্রশ্নের সহজ সমাধান পাওয়া সম্ভব। ফলে কোনো বিষয়ে আটকে গেলে আর এর কাছে ওর কাছে ঘুরতে হবে না। ইন্টারনেটে হাজারটা সাইটের অ্যাডস দেখে ঘুরে ঘুরে আইডিয়া নিতে হবে না। ChatGPT তে প্রশ্ন করলেই মিলবে সহজ সমাধান।

আবার ধরুন, একটা আর্টিকেল লিখতে যাচ্ছেন কিন্তু পর্যাপ্ত রিসোর্স নেই আপনার কাছে। সমস্যা নেই। ChatGPT আছেনা?শুধু রিসোর্স না, আপনার মনমতো আর্টিকেলটাই লিখে দেবে ChatGPT। আবার হতে পারে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে চাচ্ছেন কিন্তু আইডিয়া পাচ্ছেন না। কোনো বড়ভাইয়ের কাছে যাওয়ার আগে হাতের কাছেই থাকা ChatGPT কে একবার জিজ্ঞেস করে দেখুন।

কোনো লেটার লিখতে চাচ্ছেন? কীভাবে লিখবেন জানেন না? ChatGPT কে বলুন। মূহূর্তের মধ্যেই লিখে দেবে।

একজন শিক্ষার্থীকে সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পড়তে হয় এসাইনমেন্ট নিয়ে। রিসোর্সের পর রিসোর্স ঘেটে তারপর পাওয়া যায় কাঙ্খিত সমাধান। তবে হাতের কাছে যদি এসিস্ট্যান্ট ই সব কাজ করে দেয় তবে এতো কষ্ট করে কে?

কোনো প্রবলেম সলভ করতে দিলে ChatGPT দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই কিন্তু সমাধান পাওয়া যাচ্ছে।

এভাবে দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের কাজ সহজ করতেই এসেছে OpenAI এর এই মেগা প্রজেক্ট ChatGPT.

Share This!
Comments

No Comments

Leave a comment